An article on the virtues of Ramadan(রমজানের ফজিলত)

রমজানের ফজিলত

virtues of ramadan in bengali
Ramadan Mubarak

রমজান মাস কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ? :

রমজান একটি উত্তম মাস। যারা কিয়ামতের দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তারা অবশ্যই উপলব্ধি করে যে ,এই মাসটা কী উত্তম সুযোগ নিজের পরজীবনকে সুন্দর করার জন্য। ইসলাম এমন এক ধর্ম যা সমস্ত জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কিভাবে অতিবাহিত করতে হয়,তা বলে দেয়। এইসব মুহূর্তের মধ্যে যেসব মুহূর্ত ভালো কাজে অতিবাহিত হয় তার জন্য পূণ্য লেখা হয়. আবার যেসব মুহূর্ত খারাপ কাজে অতিবাহিত হয় তার জন্য পাপ লেখা হয়। তার জন্য শাস্তি ও পুরস্কার দুটোই নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু দেখা যায় যে আমাদের জীবনের বেশিরভাগ মুহূর্ত পাপে পূর্ণ। তাই আমাদের এমন কোন সুযোগ খুঁজতে হয় যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পূর্ণ অর্থাৎ আমরা স্মার্ট ওয়াক করতে চাই। সময় কম, বদলা বেশি। আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের পাপ মোচনের জন্য এমন কয়েকটা সুযোগ দেন তন্মধ্যে রমজান একটি। অর্থাৎ এই মাসের মধ্যে স্বল্প ভাল কাজে বিরাট পরিমাণ সওয়াব প্রদান করা হয়। সাথে সাথে আরও একটি আকর্ষণীয় রাত রয়েছে এই মাসে তা হল লাইলাতুল কদর। তাই সকল সচেতন মানুষ এই মাসটা কে যেন নিজের অসংখ্য আমলের দ্বারা বরণ করে নেয়।

হযরত ইবনে মাসউদ রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন: রমজানের প্রত্যেক রজনীতে একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকে যে হে পুণ্যের অন্বেষণকারী , অগ্রসর হও। হে পাপাচার ,থামিয়া যাও। চক্ষু উন্মোচন কর। আবার বলে ক্ষমাপ্রার্থীকেই মার্জনা করা হইবে। অনুতাপির অনুতাপ গ্রহণ করা হইবে। প্রার্থনাকারীর  প্রার্থনা কবুল  করা হইবে। 

কায়াব বিন উজরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত আছে , একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিলেন, তোমরা মেম্বারের নিকটবর্তী হও। আমরা হাজির হইলাম। অতঃপর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিম্বরে প্রথম সিঁড়িতে পা মোবারক রাখিলেন, বলিলেন আমিন।অর্থ্যাৎ আল্লাহ তুমি কবুল করো। আবার যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠিলেন বলিলেন , আমিন। পুনরায় তৃতীয় সিড়িতে উঠিয়া বলিলেন , আমিন। খোৎবা শেষে যখন রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেম্বার হইতে অবতরণ করিলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করিলাম, হুজুর ;অদ্য মিম্বারে উঠিবার সময় যা কিছু শুনলাম তা ইতিপূর্বে কখনো শুনি নাই। তিনি উত্তর করিলেন:এইমাত্র জিব্রাইল আসিয়া বলেছেন, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি যে রমজান পাইলে অথচ তার গুনাহ মাফ হইল না। আমি বললাম আমিন অর্থাৎ তা হোক (শেষ পর্যন্ত)
তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ যায় না এর মধ্যে একজন ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। রোজাদারের জন্য জান্নাতে একটি নির্দিষ্ট দরজা রয়েছে।

 নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম   এর রমজান :

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন যে, রমজান আসিলে রাসূল সাল্লাল আল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রং বিবর্ণ হইয়া যাইত। বেশি বেশি করিয়া নামায  পড়িতেন। অপূর্ব বিনয় ও নম্রতার সহিত প্রার্থনা করিতেন। মৌলার ভয় ও ভীতি বর্ধিত হইয়া যাইত। অন্য রেওয়াতে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শয্যা গ্রহণ করতেন না।

রমজানের ফজিলত

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন যখন রমজান মাসের প্রথম রাত হয় শয়তান এবং খবীছ জিন্নাত কে বন্দি করা হয়। দোজখের সমূহ দরওয়াজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেহেশতের দরজা ছাড়া কোন ধরনের দরজা খোলা হয় না। বেহেশতের কোন দরজা বন্ধ করা হয় না। ( শেষ পর্যন্ত)

অন্য হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহর তরফ থেকে রমজানের শেষ দশকে এমন একটি রাত আছে যেটা সহস্র মাসের চেয়েও উত্তম। যখন রমজান আসে জান্নত সুসজ্জিত করা হয়। এছাড়া রমজান মাসের ১টি নফল একটি ফরজ এর সমান এবং একটি ফরজ ৭০ টি ফরজএর সমান।

ইফতার করা এবং  করানো

খেজুর এবং পানি দিয়ে রোজার ইফতার করা সুন্নত আবু য়ালি বর্ণনা করেছেন নবি করিম সাঃ ৩টি খেজুর দ্বারা ইফতার করা পছন্দ করেতেন। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হইতে বর্ণিত আছে , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফর্মাইয়াছেন ,আল্লাহ তাআলা ফর্মাইয়াছেন যে আমার বান্দাদের মধ্যে বেশি পছন্দনীয় তারা যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে। অন্য হাদীছে রয়েছে যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় সে সমান সওয়াব লাভ করে।

 ইফতারের দোয়া
মায়াজ বীন জোহরা (রা:) থেকে বর্ণিত রয়েছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সময় ইফতার করতেন তখন বলেতেনاللهم لك صمت و على رزقك أفطرت .
সেহরি
হজরত ইরবাদ বনে সারিয়া রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকিলেন এবং বললেন বরকতময় খানার দিকে এসো।
আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই মাসের পুণ্য এবং বিশেষ করে অতি উত্তম রাত শবে কাদার নাসিব করুন। আমাদের রোজা সমূহকে কাবুল করেন। আমিন
SHARE

Milan Tomic

Hi. I’m Designer of Blog Magic. I’m CEO/Founder of ThemeXpose. I’m Creative Art Director, Web Designer, UI/UX Designer, Interaction Designer, Industrial Designer, Web Developer, Business Enthusiast, StartUp Enthusiast, Speaker, Writer and Photographer. Inspired to make things looks better.

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment