মহাত্মা গান্ধী
ভূমিকা :ভারতের ইতিহাসে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত এমন এক ব্যাক্তিত্ব হলেন মহাত্মা গান্ধী। দেশবাসী যাকে মমতায় "বাপু " জাতির জনক " বলে ডাকে। অহিংসা ও সত্যাগ্রহকে অবলম্বন করে তিনি সশস্ত্র শাসক শক্তির বিরুদ্দে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েসিলেন। এবং শেষ পৰ্যন্ত আত্মিক শক্তির জয় প্রতিষ্ঠা করে গান্ধীজি পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোজনা করলেন। তিনি ব্যারিস্টার ছিলেন কিন্তু বোম্বাইহাইকোর্টে আইন ব্যাবসায় সাফল্য অর্জন করতে
পারেননি লাজুক স্বভাব আর মিথ্যা ভাষণে অদক্ষতাই তার প্রদান বাধা। তিনি বিশ্বাস করতেন ,মূলত মানুষ সৎ,তাই তার হৃদয়ের কাছে আবেদন জানালে তা কখনও ব্যার্থ হতে পারে না।
জন্ম এবং বংশ পরিচয় :১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর গুজরাতের পোরবন্দর নামক স্থানে এক বণিক বংশে মহাত্মা গান্ধী জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার সম্পূর্ণ নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাহার পিতার নাম কাবা গান্ধী এবং মাতা পুতলিবাই। মাতা পিত অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। পিতা করমচাঁদ (কাবা ) গান্ধী কাথিয়াবাড় রাজ্যে দেওয়ানের কাজ করিতেন। জানা যায় গান্ধীর পরিবার আগে গান্ধীর (মুদি ) ব্যবস্যা করতো।
পারেননি লাজুক স্বভাব আর মিথ্যা ভাষণে অদক্ষতাই তার প্রদান বাধা। তিনি বিশ্বাস করতেন ,মূলত মানুষ সৎ,তাই তার হৃদয়ের কাছে আবেদন জানালে তা কখনও ব্যার্থ হতে পারে না।
জন্ম এবং বংশ পরিচয় :১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর গুজরাতের পোরবন্দর নামক স্থানে এক বণিক বংশে মহাত্মা গান্ধী জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার সম্পূর্ণ নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাহার পিতার নাম কাবা গান্ধী এবং মাতা পুতলিবাই। মাতা পিত অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। পিতা করমচাঁদ (কাবা ) গান্ধী কাথিয়াবাড় রাজ্যে দেওয়ানের কাজ করিতেন। জানা যায় গান্ধীর পরিবার আগে গান্ধীর (মুদি ) ব্যবস্যা করতো।
ছেলেবেলা : সাত বৎসর বয়সে গান্ধী রাজকোটের এক পাঠশালায় ভর্তি হলেন।এই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং পরে হাইস্কুলে ভর্তি হইলেন।
মাত্র তেরো বৎসর বয়সে তিনি কস্তরী বাইয়ের পাণি গ্রহণ করলেন। তারপর তিনি বোম্বাই বিশবিদ্যালয় থেকে উর্তীর্ণ হয়ে অল্পকাল কলেজে ও পড়েছিলেন। এরপর উনিশ বৎসর বয়সে বিলাত যাত্রা করলেন।
কর্ম জীবন :১৮৯১ সালে মহাত্মা গান্ধী ব্যারিষ্টার পরীক্ষায় উর্তীর্ণ হয়ে ভারতে ফিরে আসলেন। তারপর আইন ব্যাবসার চেষ্টা করে ও সফলতা অর্জন করতে পারেননি তার লাজুক স্বভাব ও মিথ্যা ভাষণে অদক্ষতার কারণে।
কিন্তু এরপরে ভারতীয় এক কোম্পানির পক্ষ থেকে আইনি লড়াইয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রা করেছিলেন ১৮৯৩ সালে। সেখানে ভারতীয় নাগরিকরা শ্বেতাঙ্গ নাটাল সরকারের এক অন্যায় বিলের প্রতিবাদ করার জন্য অনুরুধ করলে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করলেন। শেতাঙ্গ সরকার তার অহিংস নীতির সামনে নত হতে বাধ্য হয়েছিলো। প্রায় কুড়ি বৎসর কাল সেখানে থেকে অবশেষে ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের রাজনীতিতে পদার্পণ করলেন।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে তিনি ব্রিটিশকে সহায়তা করেছিলেন এই শর্তে যে যুদ্দের পার ভারতকে ডোমিনিয়ন ব্যাবস্থা প্রদান করা হবে। কিন্তু যুদ্দের পর ব্রিটিশরা তাহাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি ফলে তিনি ব্রিটিশের বিরুদ্দ আন্দোলন শুরু করলেন। অসহযোগ আন্দোলন ,আইন অমান্য আন্দোলন ,ডান্ডি অভিযান ,চম্পারণ সত্যাগ্রহ ,ভারত ছাড় আন্দোলন ইত্যাদি ঐতিহাসিক ঘটনাবলীতে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন। তার "করেঙ্গে ইয়া মরঙ্গে "ধ্বনি দেশবাসীকে প্রেরণা দিয়েসিলো।
মৃত্যু :১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজির দিল্লিতে এক প্রার্থনা সভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিলো। তিনি যখন মানুষের ভিড় ঠেলে সবার দিকে এগোচ্ছিলেন তখন নাথুরাম গডসে নামক এক আততায়ীর তিনটি গুলিতে তার দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল ,তিনি মৃত্যু ভরণ করলেন।
উপসংহার : গান্ধীজির মৃত্যুতে সমস্ত দেশ এবং পৃথিবীর তাবড় তাবড় নেতারা শোক ব্যাক্ত করেছিল।অহিংসার পূজারী ভারতের এই মহান নেতা হিংসার স্বীকার হইলেন। গান্ধীজি বলেছেন "আমার জীবনই আমার বাণী ".
0 comments:
Post a Comment