ধর্মীয় উদারতা আসলেই বা কী ? এবং স্রষ্টার খোঁজ
universe |
প্রথমেই প্রশ্ন হয় ”কোনো ও ধর্মকে না মানাই কি আসল ধর্মীয় উদারতা ?“ ধর্ম মানবই বা কেন?
আসুন ধর্মীয় উদারতা আসলে বা কী ? এই প্রশ্নের সমাধান খুঁজে নেওয়া যাক।কিছু কিছু মানুষ বলে যে, আমি কোনো ধর্মের গোঁড়ামিতে বিশ্বাস করি না,আমি উদারবাদী । এর প্রতুত্তরে আমি বলতে পারি যে, ওই মানুষরা ধর্ম কি তা বুঝতেই পারেনি। যদি বুঝতেন তা হলে ধর্মীয় উদারতার সংজ্ঞা অন্য রকম দিতেন।
স্রষ্টার খোঁজ
ধর্মের মূল বিষয় হল নিজের স্রষ্টাকে খুঁজে বের করে তিনি যা বলেন তার আনুগত্য করা। এখন প্রশ্ন আসে স্রষ্টাকেই বা খোঁজব কেনো ? একটি উদাহরণের সাহায্যে উত্তর দেওয়া যাক l মনে করেন আপনি একটি মোবাইল ফোন কিনেছেন l কেনার পরেই আপনার মনে আসবে এই মোবাইল ফোনটা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কিভাবে এর রক্ষনাবেক্ষণ করবেন l তার জন্য আপনি নিশ্চয় কোন কোম্পানী এই মোবাইলটা তৈরি করেছে তার খোঁজ নিবেন এবং তাদের আদেশ পালন করার চেষ্টা ও করবেন l এটা তো একটা সামান্য জিনিস l কিন্ত আপনি এবং আপনার এই মূল্যবান জীবন কিভাবে অতিবাহিত করবেন এবং সফল করবেন, তার জন্য কি আপনি আপনার স্রষ্টাকে খোঁজবেন না ? অবশ্যই খোঁজবেন এবং এই অনুসন্ধানটা হতে হবে নিখুঁত l
এছাড়া আপনি. মানুষ হিসেবে অন্য কেউ আপনার উপকার করলে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকেন, তার পরিচয় নেন l তবে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তার পরিচয় কেনই বা নিবেন না?
ধর্মগ্রন্থের প্রয়োজনীয়তা একটি মোবাইলের সাথে একটি ছোট্ট instructions book দিবে l আপনার স্রষ্টা ও আপনাকে একটি বই দিয়েছেন, যাকে ধর্মগ্রন্থ বলা হয় l
সৃষ্টির রহস্য
ধর্মগ্রন্থের প্রয়োজনীয়তা একটি মোবাইলের সাথে একটি ছোট্ট instructions book দিবে l আপনার স্রষ্টা ও আপনাকে একটি বই দিয়েছেন, যাকে ধর্মগ্রন্থ বলা হয় l
সৃষ্টির রহস্য
আধুনিক যুগের মানুষ যারা ধর্ম নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না, তাদের একটা প্রশ্ন করা যায় : তোমাকে এই পৃথিবীতে কেন পাঠানো হয়েছে? কি তোমার চাকরিটা করার জন্য? কি ঘুমাবার জন্য? কিজন্যে ? চাকরিটা তো তুমি দুনিয়াতে এসেছ ,খাবার প্রয়োজন হয়েছে তাই করতেছ। এটাই কি আসল উদ্দেশ্য ? না,এটা হতে পারে না। কেননা তুমি বোলো " জীবন ধারণ করার জন্য খাও ,খাওয়ার জন্য জীবন ধারণকরিও না। আমি জিজ্ঞাসা করি :তাহলে কিসের জন্য জীবন ধারণ করবে ? এটার উত্তর কি রকেট বানাবার জন্য। রকেটে বানানো তো মানুষের সুবিধার জন্য ,এই মানুষগুলোকে কেন পাঠানো হয়েছে ? নিশ্চয় এসব ব্যাতিত অন্য কোন মহৎ উদ্দ্যেশ্য রয়েছে। তাহলে তুমি উদ্দ্যেশ্যহীন হয়ে ঘুরছ কেন ?
কোরানের ভাষায় এই উদ্দ্যেশ্য টা হলো :و ما خلقت الجن و الانس إلا ليعبدون অর্থ্যাৎ জীন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে যে তারা শুধু উপাসনা করবে ।
এখন বুঝা গেল ধর্ম কী l অতএব ধর্মীয় উদারতা হল যে ধর্মকে আপনি সত্য বলে মান্য করেন, তার সম্পূর্ণ অনুসরণ এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা করা l ধর্মীয় উদারতা বলতে কোনো ধর্মকে না মানা নয় l এরকম হতেই পারে না l
কোরানের ভাষায় এই উদ্দ্যেশ্য টা হলো :و ما خلقت الجن و الانس إلا ليعبدون অর্থ্যাৎ জীন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে যে তারা শুধু উপাসনা করবে ।
এখন বুঝা গেল ধর্ম কী l অতএব ধর্মীয় উদারতা হল যে ধর্মকে আপনি সত্য বলে মান্য করেন, তার সম্পূর্ণ অনুসরণ এবং অন্যান্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা করা l ধর্মীয় উদারতা বলতে কোনো ধর্মকে না মানা নয় l এরকম হতেই পারে না l
বিজ্ঞান
তুমি বলো আমি তো বিজ্ঞান যা বলে তাই বিশ্বাস করি। তবে এটা ও সত্য যে বিজ্ঞান আপনাকে ভুল তথ্য দিতে পারে। কেননা অনেক দিন পূর্বে মানুষ জানত যে পৃথিবীটা থালার মতো গোল। এই কথার উপর বিশ্বাস রেখে অনেকের মৃত্যু হয়ে গেছে। কিন্ত অবশেষে ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান নামক একজন পতুর্গীজ নাবিক প্রমাণ করলেন যে পৃথিবীটা কমলা লেবুর মতো গোল। তাই আমি বলতে চাই, হয়তো বিজ্ঞান আপনাকে ধর্ম বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে যা সঠিক নয়। .পৃথিবীর ব্যাপারটা তত জরুরী নয় যত জরুরী ধর্মের ব্যাপারটা ,কেননা এটাতে ভুল পথে পরিচালিত হলে শাস্তির উল্লেখ আছে। এর চেয়ে বড় কথা যে এই সুযোগটা একবারই আসে. হয়তো কিছুদিন পর বিজ্ঞান তার মত বদলে নেবে এবং সঠিক তথ্য দিবে , কিন্তু ততক্ষণে আপনার মৃত্যু হয়ে গেছে। আপনার জীবন ব্যর্থ হয়ে গেছে। এছাড়াও অনেক কিছু রয়েছে যা আপনি না দেখেও বিশ্বাস করেন।
স্রষ্টা কী একজন ?
আপনি এই বিশ্বকে দেখেন ,যা দেখে আপনি সত্যি অবাক হবেন।এবং এক কথায় উপনীত হবেন যে এই বিশ্ব কেউ না কেউ সৃষ্টি করেছে। কেননা আমি যদি বলি তোমার ঘরের চেয়ারটা নিজে নিজেই তৈরি হয়ে গেছে। তাহলে আমাকে পাগল খেতাবে ভূষিত করবেন। তবে এই বিশাল বিষয়টি পৃথিবীটি এমনিতেই নিজে নিজে তৈরি হয়েছে তা কি সম্ভব ? অসম্ভব।
তবে কি সৃষ্টিকর্তা অনেক ? না তাহলে এভাবে সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পারতো না। একদা এক বুড়ি মাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল , যে আপনি কেন মনে করেন যে এই পৃথিবীর স্রষ্টা একজন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে এটা তো সহজ ব্যাপার। কেননা আমি যখন আমার এই ছোট্ট চরকাটি ঘুরাই একা নিজেই তখন এটা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে কাজ করতে থাকে এবং কিন্তু যখন অন্য কোন শিশু এসে এটা নাডা ছাড়া করে তখন এটা বিশৃঙ্খল হয়ে যায় , সুতা নষ্ট করে দে। যদি এরকম হয় তাহলে এই বিশাল পৃথিবীটা এত সুশৃংখলভাবে কিভাবে চলবে অনেক ঈশ্বর দ্বারা ? না, তা হতে পারে না। অতএব সৃষ্টিকর্তা একজনই ?
কুরআনের ভাষায় لو كان فيهما آلهة إلا الله لفسدتا একজন যার নাম আল্লাহ তিনি ছাড়া অন্য আরও কোন ঈশ্বর হতেন তাহলে একটা জগড়া বেঁধে যেত। অতএব لا اله الاالله আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই।
দারুণ, পড়ে ভালো লাগলো😊
ReplyDeletethank u
Delete